The Caretaker by Harold Pinter Bangla summary | বাংলা লেকচার | Bengali Lecture,
এ নাটকে মোট তিনটি চরিত্র রয়েছে।
১. এস্টন ২. মিক ৩. ডেভিস। এস্টন ও মিক দুই ভাই। এস্টন হচ্ছে মিকের বড় ভাই। ডেভিস এক ভবঘুরে। তার নিজের বাসা নেই।
মূল নাটক:
১৯৫০শের দশকে পশ্চিম লন্ডনের একটি বাড়ির এক রুমে নাটকটির সব ঘটনা ঘটে। সময়টা তখন শীতকাল। নাটকের শুরুতে দেখা যায় মিক ঘরে একটি বিছানার ওপর বসে আছে। মঞ্চের বাইরে থেকে একটি দরজা খোলা ও বন্ধ হওয়ার শব্দ আসলে সে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। মিকের ভাই এস্টন ও ভবঘুরে ডেভিস এবার ঘরে প্রবেশ করে। এস্টন ডেভিসকে মারামারির হাত থেকে বাঁচিয়েছে। মারামারিটা হয় একটি ক্যাফেতে যেখানে ডেভিস ছোটখাটো কাজ করত। সে ডেভিসকে কাপড় ও জুতা এবং রাতে থাকার জায়গা দেয়। ডেভিসের মনে যা আসে সে বলে দেয়, সে প্রতিবেশী কিছু ব্লাকদের বিরুদ্ধে এবং অন্য আরো জাতের মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে থাকে। অন্যদিকে এস্টন ডেভিসের পুরোপুরি উল্টো। সে অনেক কম কথা বলে। ডেভিস বলে তাকে সিডকাপে যেতে হবে নিজের পরিচয় সনাক্তকারী কাগজপত্রগুলো আনতে।
পরের সকালে এস্টন বলে ডেভিস রাতে ঘুমের মধ্যে শব্দ করছিল। কিন্তু ডেভিস কথাটা অস্বীকার করে। এস্টন বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হয় এবং ডেভিসকে বলে সে এখানে থাকতে পারে। ভবঘুরে ডেভিস বলে সে একটা কাজ খোঁজার চেষ্টা করবে। এস্টন চলে যাওয়ার পর মিক আসে এবং ডেভিসের সাথে তার ধস্তাধস্তি হয়। সে ডেভিসকে জিজ্ঞেস করে তার মতলব কি।
(পোস্ট পড়ার সময় পাশে আসা এডগুলোতে ক্লিক করবেন। এতে লেখক উপকৃত হবেন। আপনার শুধু মাত্র কিছু কিলোবাইট খরচ হবে। ধন্যবাদ)
মিক ডেভিসকে অদ্ভুত সব প্রশ্ন করতে থাকে এবং তার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে চেষ্টা করে যার ফলে বৃদ্ধ মানুষটা অসস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মিক ডেভিসকে বলে যদি চায় তাহলে সে ঘরটা ভাড়া নিতে পারে। এস্টন ডেভিসের একব্যাগ জিনিসপত্র নিয়ে ফিরে আসে, মিক সেখান থেকে চলে যায়। এস্টন ডেভিসকে জিজ্ঞেস করে সে জায়গাটার কেয়ারটেকার হতে চায় কিনা।বিনিময়ে তাকে এস্টনের ভাইয়ের জন্য জায়গাটা ঠিকমত সাজিয়ে গুছিয়ে মেরামত করে একটা ফ্লাটে পরিণত করে দিতে হবে। ডেভিস প্রথমে অনীহা দেখায় কারণ অনেক কাজ করতে হবে কিন্তু পরে রাজি হয়।
পরে মিক অন্ধকার ঘরে ডেভিসকে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ভয় দেখায়। এরপর মিক ডেভিসকে জিজ্ঞাসা করে সে জায়গাটার কেয়ারটেকার হতে চায় কিনা। ডেভিস দ্বিধায় পড়ে এই জায়গাটার আসল মালিক কে জানতে চাইলে মিক তাকে মিথ্যা বলে যে সেই এই জায়গাটার মালিক। মিক এবার ডেভিসের কাগজপত্র দেখতে চাইলে ডেভিস কথা দেয় সিডকাপে গিয়ে সে তার কাগজপত্রগুলো নিয়ে আসবে।
পরদিন সকালে খারাপ আবহাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সে আর সিডকাপে যেতে চায় না। এস্টন ডেভিসকে বলে কিভাবে আগে তার হ্যালিউসিনেশন হতো এবং কিভাবে একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে জোর করে ইলেকট্রিকশক দিতো। সে এখন দ্রুত চিন্তা করতে পারেনা। তার মনে হয় যে তাকে এত কষ্ট দিয়েছে ঐ লোকটাকে যদি পেতাম। এখন এস্টন শুধু বাড়ির গার্ডেনের একটা বসার জায়গা তৈরি করতে চায় আর কিছু না।
দুই সপ্তাহ পরে, ডেভিস মিকের কাছে এস্টন সম্পর্কে একগাদা অভিযোগ দিতে থাকে। একরাতে এস্টন ডেভিসকে ঘূম থেকে শব্দ করাতে নিষেধ করলে ডেভিস রাগে ফেটে পড়ে এবং এস্টনের ইলেকট্রিক শক দিয়ে চিকিৎসা করার বিষয়টা নিয়ে উপহাস করে। এস্টন শান্তভাবে ডেভিসকে বলে এভাবে আর থাকা যাবে না এবং তাকে চলে যেতে হবে। ডেভিস এস্টনকে অভিশাপ দেয় আর বলে সে এই বিষয়ে মিকের সাথে কথা বলবে।
(পোস্ট পড়ার সময় পাশে আসা এডগুলোতে ক্লিক করবেন। এতে লেখক উপকৃত হবেন। আপনার শুধু মাত্র কিছু কিলোবাইট খরচ হবে। ধন্যবাদ)
ডেভিস মিকের সাথে কথা বলে। সে এস্টনকে ওখান থেকে বের করে দিতে চায়। মিক তার সাথে কিছুটা একমত হওয়ার ভান করে এবং পরে ডেভিসকে তার একজন অভিজ্ঞ ইনটেরিয়র ডেকোরেটর হওয়ার দাবির বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে শুরু করে। ডেভিস মিকের কথার কিছুই বুঝতে পারে না কারণ সে নিজেকে অভিজ্ঞ ইন্টেরিয়র ডেকোরেটর দাবি কখনোই করেনি। সে মিকের কথাটা সংশোধনের চেষ্টা করে। কথা বলতে বলতেসে এস্টনকে পাগল বললে মি ডেভিসকে চলে যেতে বলে। এই পর্যন্ত সব কাজের মজুরী হিসেবে মিক তাকে কিছু টাকা দিয়ে দেয়।
এস্টন ঘরে আসে এবং দুইভাই মিলে হাসাহাসি করে। এবার মিক ঘর থেকে চলে যায় এবং ডেভিস আবার এস্টনের কাছে সাহায্য চাইতে থাকে আর বলে সে ভাল মানুষ হয়ে যাবে। এস্টন শুধু বলে তুমি অনেক শব্দ কর। ডেভিস এবার প্রতিবাদ শুরু করে, এস্টন চুপ করে থাকে। নাটক শেষ হয়ে যায়।
COMMENTS